০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“কালো মানিক” নিবেন না বেগম খালেদা জিয়া

 

ভিশন নিউজ ৭১ ডেস্ক :

বেগম খালেদা জিয়ার জন্য ‘কালো মানিক’ নিয়ে ঢাকায় আসেন পটুয়াখালীর সোহাগ মৃধা।

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঝাটিবুনিয়া গ্রামের কৃষক সোহাগ মৃধার দেওয়া কুরবানির গরু ‘কালো মানিক’ গ্রহণ করেননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি সোহাগ মৃধাকে নির্দেশ দিয়েছেন নিজ এলাকায় গিয়ে এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদুল আযহা উদযাপন করতে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সকাল ৮টার সময় সেই আদরের কালো মানিককে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন সোহাগ মৃধা। পরে ঢাকায় পৌঁছালে সোহাগ মৃধার দেওয়া কুরবানির গরু ‘কালো মানিক’ গ্রহণ করেননি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোরবানির পশু উপহার দেওয়ার জন্য সোহাগ মৃধা ও তার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া, সোহাগ মৃধা ও তার পরিবারের জন্য ঈদের বিশেষ উপহার পাঠিয়েছেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

খোজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৩৫ মণ ওজনের এই ষাঁড়টি দেখে মুগ্ধ এলাকাবাসী। কালো রঙের জন্যই কালো মানিক নামে ডাকা হয়  ষাঁড়টিকে, এক সময় ১০ লাখ টাকা দাম উঠলেও বিক্রি করেননি সোহাগ মৃধা বৃহস্পতিবার প্রিয় নেত্রীর  হাতে উপহার তুলে দিতে মির্জাগঞ্জ থেকে রওনা দিয়ে ঢাকায় আসেন সোহাগ। এ জন্য ভাড়া করা হয়েছে তিনটি মিনি ট্রাক। সঙ্গে ছিল ব্যানার, ব্যান্ড পার্টি  ও টি-শার্ট পরা সঙ্গীরা।

সোহাগ মৃধা বলেন আওয়ামীলীগ শাসনামলে ২০২৩ সালে সংবাদমাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক কৃষকের গরু উপহার দেওয়ার খবর দেখে আমার ইচ্ছা জেগেছিল যদি কখনো সুযোগ হয় আমিও আমার প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি গরু উপহার দেব।

সোহাগ ২০১৮ সালের শেষের দিকে স্থানীয় চৈতা বাজার থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার টাকায় একটি ফ্রিজিয়ান গাভি কিনে লালন-পালন করেন। সপ্তাহ যেতে না যেতেই গরুটি বেশ বড়সড় একটি ষাড় বাছুরের জন্ম দেয়। পরে গাভি গরুটি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন। বাছুরটিকে দেশীয় খাবার ভুসি, খইল,  ঘাস, খড় খাইয়ে অতি যত্নে ছয় বছর ধরে লালন-পালন করেন।

আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সোহাগ মৃধা বিএনপির একজন নিবেদিত কর্মী। পরিবারের সবার সহায়তায় ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি লালন-পালন করছেন।

সোহাগ মৃধার মা হাজেরা বেগম বলেন, ওর মন চাইছে, তাই ও এটা খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে চায়। আমরাও খুশি। ওর বাবা নেই। সামান্য জমি চাষাবাদ করে সংসার চালায়। ছোটবেলা থেকেই সোহাগ বিএনপিকে ভালোবাসে।

সোহাগের স্ত্রী সুলতানা আক্তার পলি বলেন, কালো মানিক আর আমার ছোট ছেলে একই বয়সের। ওদের একই রকম স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে লালন-পালন করেছি। ওর বাবার ইচ্ছা সে তার প্রিয় নেত্রীকে এটি উপহার দেবে।

ছয় বছর ধরে পরিবারের সদস্যদের ভালোবাসা আর যত্নে বড় হয়ে ওঠে ষাঁড়টি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় পোস্ট

সংসদে নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবে সংসদ সদস্যগণ: বিএনপি

“কালো মানিক” নিবেন না বেগম খালেদা জিয়া

Update Time : ০৯:২৪:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

 

ভিশন নিউজ ৭১ ডেস্ক :

বেগম খালেদা জিয়ার জন্য ‘কালো মানিক’ নিয়ে ঢাকায় আসেন পটুয়াখালীর সোহাগ মৃধা।

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঝাটিবুনিয়া গ্রামের কৃষক সোহাগ মৃধার দেওয়া কুরবানির গরু ‘কালো মানিক’ গ্রহণ করেননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি সোহাগ মৃধাকে নির্দেশ দিয়েছেন নিজ এলাকায় গিয়ে এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদুল আযহা উদযাপন করতে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সকাল ৮টার সময় সেই আদরের কালো মানিককে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন সোহাগ মৃধা। পরে ঢাকায় পৌঁছালে সোহাগ মৃধার দেওয়া কুরবানির গরু ‘কালো মানিক’ গ্রহণ করেননি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোরবানির পশু উপহার দেওয়ার জন্য সোহাগ মৃধা ও তার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া, সোহাগ মৃধা ও তার পরিবারের জন্য ঈদের বিশেষ উপহার পাঠিয়েছেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

খোজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৩৫ মণ ওজনের এই ষাঁড়টি দেখে মুগ্ধ এলাকাবাসী। কালো রঙের জন্যই কালো মানিক নামে ডাকা হয়  ষাঁড়টিকে, এক সময় ১০ লাখ টাকা দাম উঠলেও বিক্রি করেননি সোহাগ মৃধা বৃহস্পতিবার প্রিয় নেত্রীর  হাতে উপহার তুলে দিতে মির্জাগঞ্জ থেকে রওনা দিয়ে ঢাকায় আসেন সোহাগ। এ জন্য ভাড়া করা হয়েছে তিনটি মিনি ট্রাক। সঙ্গে ছিল ব্যানার, ব্যান্ড পার্টি  ও টি-শার্ট পরা সঙ্গীরা।

সোহাগ মৃধা বলেন আওয়ামীলীগ শাসনামলে ২০২৩ সালে সংবাদমাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক কৃষকের গরু উপহার দেওয়ার খবর দেখে আমার ইচ্ছা জেগেছিল যদি কখনো সুযোগ হয় আমিও আমার প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি গরু উপহার দেব।

সোহাগ ২০১৮ সালের শেষের দিকে স্থানীয় চৈতা বাজার থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার টাকায় একটি ফ্রিজিয়ান গাভি কিনে লালন-পালন করেন। সপ্তাহ যেতে না যেতেই গরুটি বেশ বড়সড় একটি ষাড় বাছুরের জন্ম দেয়। পরে গাভি গরুটি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন। বাছুরটিকে দেশীয় খাবার ভুসি, খইল,  ঘাস, খড় খাইয়ে অতি যত্নে ছয় বছর ধরে লালন-পালন করেন।

আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সোহাগ মৃধা বিএনপির একজন নিবেদিত কর্মী। পরিবারের সবার সহায়তায় ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি লালন-পালন করছেন।

সোহাগ মৃধার মা হাজেরা বেগম বলেন, ওর মন চাইছে, তাই ও এটা খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে চায়। আমরাও খুশি। ওর বাবা নেই। সামান্য জমি চাষাবাদ করে সংসার চালায়। ছোটবেলা থেকেই সোহাগ বিএনপিকে ভালোবাসে।

সোহাগের স্ত্রী সুলতানা আক্তার পলি বলেন, কালো মানিক আর আমার ছোট ছেলে একই বয়সের। ওদের একই রকম স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে লালন-পালন করেছি। ওর বাবার ইচ্ছা সে তার প্রিয় নেত্রীকে এটি উপহার দেবে।

ছয় বছর ধরে পরিবারের সদস্যদের ভালোবাসা আর যত্নে বড় হয়ে ওঠে ষাঁড়টি।