
- নিজস্ব সংবাদদাতা:
- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে আস্থাভোট ও অর্থবিল এই দুটি বিষয় ছাড়া অন্যন্য বিষয়ে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন এমপিরা, এনিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আজকের আলোচনায় একমত হয়েছে বিএনপি।মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, জুলাই মাসের মধ্যেই জাতীয় সনদ (জুলাই সনদ) তৈরি করা সম্ভব হবে। এ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেভাবে সহযোগিতা করছে, তাদের প্রতি আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।
আলোচনায় অংশ নিয়েছেন বিএনপি, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা। তবে অংশ নিতে দেখা যায়নি জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতাকে।
উল্লেখ্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছিলো।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ কমিশনের সহসভাপতি করে
সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছিলো জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামানকে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিলো ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কমিশন কাজ শুরু করবে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে এবং এই মর্মে সুপারিশ করবে এই কমিশন।
আরও বলা হয়েছিলো কমিশনের মেয়াদ হবে কার্যক্রম শুরুর তারিখ থেকে ছয় মাস।
তারই ধারাবাহিকতায় জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ আজ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাজধানীর কাকরাইলে দ্বিতীয় পর্বের মতবিনিময়সভায় মিলিত হয়েছিলেন।