১১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই জনের আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার :

কে,এস ইসলাম

রাজধানীর বনানী ও রামপুরায় পৃথক ঘটনায় বাসের হেলপারসহ এক নারীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা।নিহতরা হলেন,বনানী মোঃ মুন্না (১৯) ও রামপুরার সুমি আক্তার (৩৫)।

বুধবার(১৮ জুন)সকালে এবং রাতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বনানী থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মোঃ মওদুদ কামাল জানান, আমরা খবর পেয়ে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে কুর্মিটোলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের থেকে মুন্নার মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো জানান,আমরা আত্মীয়র মুখে জানতে পারি নিহত মুন্না একজন বাসের সহকারি হিসাবে কাজ করতো। গত রাত্রে স্বামী স্ত্রীর কলেজ যে ধরে নিজরুমে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসি দেয়।পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। তবুও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

নিহতের বাবা মোঃ ইয়াসিন জানান, আমার ছেলে বাসের হেলপারি করে আমার ছেলের জোনাকি নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে । কিছুদিন পূর্বে তার একটি সন্তান হয়েছিল ছেলেটি মারা যায়।এই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কথা কম বলতো পারিবারিক বিষয় নিয়ে রাতে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে নিজ রুমে গিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরো জানান, আমাদের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ডামুড্ডা থানার ডিশকুল এলাকায়। বর্তমানে স্ত্রীকে নিয়ে বনানীর মহাখালী আদর্শ নগর এলাকায় থাকতেন। আমার চার ছেলে তিন মেয়ে সে ছিল বড়।

অপরদিকে, রামপুরা থানার পূর্ব হাজীপাড়া ঝিলপার এলাকা একটি বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে সুমি আক্তার(৩৫)নামের এক গৃহবধুর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা।

রামপুরা থানা উপ-পরিদর্শক(এসআই) খাঁন আব্দুর রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে গতকাল পূর্ব হাজিপাড়া ঝিলপাড় ৪৮/৪/এ বাসার বিছানার উপর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো জানান,আমরা স্বজনের কাছে থেকে জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের জেরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। তবুও ময়নতন্ত্রের প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। নিহতের গ্রামের বাড়ি, পিরোজপুর সদর জেলার কুমারখালী গ্রামে মনেজ হাওলাদারে কন্যা। বর্তমানে,পূর্ব হাজিপাড়া ঝিলপাড় ৪৮/৪/এ নম্বর বাসায় স্বামী শহিদুল ইসলামের সঙ্গে থাকতেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় পোস্ট

দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় অটো আরোহী নারীর মৃত্যু

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই জনের আত্মহত্যা

Update Time : ১১:৩৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার :

কে,এস ইসলাম

রাজধানীর বনানী ও রামপুরায় পৃথক ঘটনায় বাসের হেলপারসহ এক নারীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা।নিহতরা হলেন,বনানী মোঃ মুন্না (১৯) ও রামপুরার সুমি আক্তার (৩৫)।

বুধবার(১৮ জুন)সকালে এবং রাতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বনানী থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মোঃ মওদুদ কামাল জানান, আমরা খবর পেয়ে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে কুর্মিটোলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের থেকে মুন্নার মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো জানান,আমরা আত্মীয়র মুখে জানতে পারি নিহত মুন্না একজন বাসের সহকারি হিসাবে কাজ করতো। গত রাত্রে স্বামী স্ত্রীর কলেজ যে ধরে নিজরুমে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসি দেয়।পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। তবুও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

নিহতের বাবা মোঃ ইয়াসিন জানান, আমার ছেলে বাসের হেলপারি করে আমার ছেলের জোনাকি নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে । কিছুদিন পূর্বে তার একটি সন্তান হয়েছিল ছেলেটি মারা যায়।এই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কথা কম বলতো পারিবারিক বিষয় নিয়ে রাতে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে নিজ রুমে গিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরো জানান, আমাদের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ডামুড্ডা থানার ডিশকুল এলাকায়। বর্তমানে স্ত্রীকে নিয়ে বনানীর মহাখালী আদর্শ নগর এলাকায় থাকতেন। আমার চার ছেলে তিন মেয়ে সে ছিল বড়।

অপরদিকে, রামপুরা থানার পূর্ব হাজীপাড়া ঝিলপার এলাকা একটি বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে সুমি আক্তার(৩৫)নামের এক গৃহবধুর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা।

রামপুরা থানা উপ-পরিদর্শক(এসআই) খাঁন আব্দুর রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে গতকাল পূর্ব হাজিপাড়া ঝিলপাড় ৪৮/৪/এ বাসার বিছানার উপর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো জানান,আমরা স্বজনের কাছে থেকে জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের জেরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। তবুও ময়নতন্ত্রের প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। নিহতের গ্রামের বাড়ি, পিরোজপুর সদর জেলার কুমারখালী গ্রামে মনেজ হাওলাদারে কন্যা। বর্তমানে,পূর্ব হাজিপাড়া ঝিলপাড় ৪৮/৪/এ নম্বর বাসায় স্বামী শহিদুল ইসলামের সঙ্গে থাকতেন।